নিউজ ডেস্ক।।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে কানসাস, টেক্সাস ও মিসৌরি। শনিবারের এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭ জন, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। কয়েকশো বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, উল্টে গেছে গাড়ি ও ট্রাক। ঝড়ের তীব্রতায় ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার, ফলে অন্ধকারে দিন কাটাতে হচ্ছে লাখো মানুষকে।
কানসাসে ধূলিঝড় ও দুর্ঘটনার শিকার ৮ জন
ঝড়ের দাপটে কানসাসে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ধুলোর ঘনচক্করে দৃশ্যমানতা একেবারে কমে যাওয়ায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ৫০টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, যার ফলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মিসৌরিতে মৃত্যু ১২, অন্ধকারে বিশাল এলাকা
মিসৌরি রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ঝড়ের প্রভাবে গাছ উপড়ে পড়ে, ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। বিশেষত ওয়েন কাউন্টিতে ছয়জন ও ওজার্কে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তীব্র বাতাসে উড়ে গেছে বহু বাড়িঘর, বহু বাসিন্দাকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নেওয়া হয়েছে।
টেক্সাস ও আরকানসাসেও মৃত্যুর মিছিল
টেক্সাসে ঝড়ের সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। আরকানসাসে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন, আহত হয়েছেন ২৯ জন। এই বিপর্যয়ের কারণে গভর্নর সারাহ্ হাকাবি স্যান্ডার্স জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
শঙ্কা কাটেনি, সামনে আরও ঝড়ের আশঙ্কা
মার্কিন আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে, মধ্য আমেরিকায় টর্নেডোর তাণ্ডব এখানেই থামছে না। মিসিসিপি, টেনেসি ও উপসাগরীয় অঞ্চলে আরও কয়েকটি শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে-জুন মাসে এই অঞ্চলে টর্নেডোর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে, ফলে আগামী দিনগুলোতে আরও বিপদ হতে পারে।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর কারণে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তবে চলতি বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সামনে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।