অনলাইন ডেস্ক।।
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে এক কিশোরী নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য দোকানে গেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় শশীভূষণ বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটার জন্য বাজারে আসা কিশোরী তার মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় দোকানে চার্জ দিতে যায়। দোকান মালিক সুমন তাকে পেছনের কক্ষে ফোন চার্জ দিতে বলেন।
কিছুক্ষণ পর, সুমনের সহযোগী রফিকুল ইসলাম ও মো. স্বাধীন সেখানে যায়। অভিযোগ রয়েছে, রফিকুল তার সহযোগী স্বাধীনকে পাহারায় রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুবকরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত সুমন ও স্বাধীন পালিয়ে যায়, তবে রফিকুলকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অভিযুক্তদের পরিচয় ও আইনি ব্যবস্থা
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শশীভূষণ থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে:
1.সুমন – শশীভূষণ বাজারের দোকান মালিক, পলাতক
2. রফিকুল ইসলাম – ধৃত আসামি, শশীভূষণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়ার ভাই
3. মো. স্বাধীন – সহযোগী, পলাতক
পুলিশ ইতোমধ্যে রফিকুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে এবং বাকিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসনের বক্তব্য
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল জানান, “ভুক্তভোগী কিশোরী মামলা করেছে। ঘটনায় জড়িত রফিকুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
বিচারের দাবি ও জনমতের প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে প্রশাসনের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এদিকে, শশীভূষণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।