অনলাইন ডেস্ক।।
কালের কন্ঠস্বর
স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন তার ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করেছেন, যা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, এবং অনেকেই তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ছাত্রী দোলা (ছদ্মনাম)-কে প্রধান শিক্ষক আকরামের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। শেষ পর্যন্ত, আজ বুধবার সামাজিকভাবে তাকে বিয়ে করেন আকরাম হোসেন।
এই বিষয়ে আকরাম হোসেন বলেন, “ছাত্রী দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। আমি অনেক আগেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বয়সজনিত কারণে পারিনি। একাধিক বিয়ে করা আমার অধিকার, এতে কারো কিছু আসে যায় না।”
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক অভিভাবক বলেন, “যে ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্বে, তিনি নিজেই এমন কাজ করলেন! এখন আমরা কীভাবে আমাদের মেয়েদের নিরাপদ মনে করে স্কুলে পাঠাবো?”
আইনগত দিক ও প্রশাসনের অবস্থান
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ এবং এই ধরনের ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া, প্রধান শিক্ষকের মতো দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি তার অধীনস্থ ছাত্রীকে বিয়ে করলে এটি ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার প্রশ্ন
এই ঘটনায় স্কুলের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক অভিভাবক ও স্থানীয়রা বলছেন, “এমন ঘটনা যদি প্রধান শিক্ষকই ঘটান, তাহলে মেয়েরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে? প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।”
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কালের কন্ঠস্বর-এর পক্ষ থেকে আমরা এই ঘটনায় প্রশাসনের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করছি। পরবর্তী আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।