অনলাইন ডেস্ক।।
ময়মনসিংহে ঈদ যাত্রাকে নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ করতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন’। এই ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনটি গতকাল ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম খান উদ্বোধন করেন। ক্যাম্পেইনটি ২৪ ঘণ্টা চলমান এবং এতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আজ ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জনাব রোকানুজ্জামান সরকার রোকন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আয়োজকদের ধন্যবাদ জানায় এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য,তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় বিএনপির সকল নেতা কর্মী মানুষের সেবায় জনগণের পাশে আছে ।”তিনি আরও বলেন মানুষ নারীর টানে ঘরে ফেরার সময় যারে ইফতার করার জন্য পানি ও ইফতার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে আয়োজকদের পদিকনির্দেশনা দেন"
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব তানভীর শাহ। তিনি বলেন, “ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতার মাধ্যমে ঈদ যাত্রার দুর্ভোগ কমানো সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিয়ম মেনে যাত্রা করা এবং অন্যদেরও তা অনুসরণ করতে উৎসাহিত করা।”
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “আমরা চাই, সকলেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করুক, কোনো ধরনের ঝুঁকি বা ভোগান্তি ছাড়াই।”
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক জনাব শাহ আলী শাহিন বলেন, “ঈদ যাত্রায় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।”
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা তাঁতি দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মুক্তার হোসেন মন্ডল বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ আরও ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা দরকার, যাতে ঈদে যাত্রীদের কষ্ট কমানো যায় এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করা যায়।”
এছাড়া, যুব কাউন্সিলর সজিব হাসান সানি ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা চাই, সবাই নিরাপদে ঈদ যাত্রা সম্পন্ন করুক। এজন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি।”
এদিকে, ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি সোহেল মিয়া বলেন, “ঈদ যাত্রা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সবাই যদি সচেতন হন এবং নিয়ম মেনে চলেন, তবে দুর্ভোগ কমানো সম্ভব।”
এছাড়া, একজন ঈদে বাড়ি যাওয়া ব্যক্তি, কিশোরগঞ্জ শহরের বাসিন্দা জনাব মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের ক্যাম্পেইন সত্যিই আমাদের জন্য সহায়ক। আমি আজ সকাল ১০টা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম, কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ এবং ক্যাম্পেইনের সদস্যদের দিকনির্দেশনায় আমার যাত্রা অনেক সহজ হয়ে গেল। আমি খুবই কৃতজ্ঞ।”
এই ক্যাম্পেইনের তৃতীয় দিনে আয়োজকরা একটি ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। ক্যাম্পেইনটি ২৪ ঘণ্টা চলমান, যাতে যাত্রীরা যেকোনো সময় নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সহায়তা পেতে পারেন।