অনলাইন ডেস্ক।।
ঢাকা, ৯ এপ্রিল:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বৈঠকে দুই পক্ষের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
চারটি শর্তে একমত হেফাজত ও এনসিপি
সূত্র জানায়, বিএনপির সঙ্গে দ্রুত নির্বাচন চাইলেও হেফাজত এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে চারটি শর্তে একমত হয়েছে। শর্তগুলো বাস্তবায়ন হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৭ সালের আগে হওয়া সম্ভব নয়।
হেফাজতের দেওয়া শর্তগুলো হলো:
১. দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র বিচার করতে হবে।
২. বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।
৩. নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগের বিচারের স্পষ্ট প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
হেফাজতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
এদিকে এনসিপির পক্ষে বৈঠকে ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক শেষে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম জানান, “গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণ, বিচার কার্যক্রমের দৃশ্যমানতা এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণাসহ চারটি বিষয়ে বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে।”
বিশ্লেষণ
রাজনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, এই বৈঠক বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে। তবে শর্তগুলো বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব বা আইনত গ্রহণযোগ্য—সে প্রশ্নও উঠছে বিশ্লেষকদের মাঝে।