নিউজ ডেস্ক।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ঘটনায় উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা—এমনটাই দাবি আন্দোলনকারীদের।
সূত্র জানায়, প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চোরাগোপ্তা মিছিল করছে দলটির কিছু অংশ, যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই সহিংসতার অভিযোগ ও মামলার তথ্য রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ডিএমপি কমিশনার জানান, চিহ্নিত সক্রিয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করতে হবে। এ জন্য ডিএমপির ক্রাইম ও গোয়েন্দা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে কোন এলাকায় কে থাকেন, কারা ঢাকা ছেড়েছেন বা নতুন করে এসেছেন—সেসব তথ্য সংগ্রহে সিআইএমএস (সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ফরম পূরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, সিটিটিসি প্রধান মো. মাসুদ করিমসহ সব থানার ওসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, মার্চ ২০২৫ মাসে চুরি, ডাকাতি, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধের পরিসংখ্যান বেড়েছে। মামলা রুজুর তুলনায় নিষ্পত্তির হার কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিশনার।
তিনি বলেন, “ওয়ারেন্ট তামিল ও গ্রেফতারে গতি বাড়াতে হবে। মারামারি, হানাহানি বন্ধে পুলিশকে জনগণের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।”
কমিশনার আরও বলেন, “প্রত্যেক থানার ওসিকে মামলা তদন্তে সক্রিয় হতে হবে এবং ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গেও সমন্বয় করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।”
মানবিক আচরণের নির্দেশনা
ট্রাফিক পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রিকশাচালকদের সঙ্গে আরও মানবিক আচরণ করুন। অন্যায় করলে প্রসিকিউশন করুন, তবে দৃষ্টিকটু আচরণ নয়।”
তিনি সব পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও বিনয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন।