অনলাইন ডেস্ক।।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | কালের কন্ঠস্বর
দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে ‘নিজেদের সুরক্ষার জন্য’ স্থানান্তর করা হবে। একইসঙ্গে, তিনি গাজা উপত্যকায় নতুন করে তীব্র সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা গাজার দক্ষিণে অভিযান জোরদার করছি। জনগণকে তাদের সুরক্ষার জন্য স্থানান্তরিত করা হবে এবং আমরা হামাসের বিরুদ্ধে জয় লাভ করব।”
ইসরাইলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে। সেই পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে, গাজার জনগণকে দক্ষিণে স্থানান্তর এবং সেনাবাহিনীর মাধ্যমে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ।
‘গাজা পুরোপুরি দখলের’ পরিকল্পনা
নিউজওয়্যার এবং রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার পরিকল্পনায় রয়েছে পুরো গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখলের লক্ষ্যমাত্রা। রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলা “পুরো ছিটমহল দখল পর্যন্ত” বিস্তৃত হতে পারে।
একটি সূত্র এএফপিকে জানায়, “পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে গাজা জয় করা, অঞ্চল দখল এবং জনসংখ্যাকে দক্ষিণে স্থানান্তরিত করা।”
নেতানিয়াহুর এ পরিকল্পনা অনেকটাই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘ডিল অফ দ্য সেঞ্চুরি’-র ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প প্রশাসনও গাজার জনগণকে বিতাড়নের পক্ষে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছিল।
নিরাপত্তা নয়, মানবিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এই ‘সুরক্ষার জন্য স্থানান্তর’ আসলে গাজার জনগণের জোরপূর্বক উচ্ছেদ বা ‘ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট’-এর রূপ নিতে পারে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
এর আগে, জাতিসংঘ জানিয়েছিল, গাজায় প্রতি ৪০ মিনিটে একটি শিশু নিহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সামরিক অভিযান আরও তীব্র হলে, সেখানে মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হতে পারে।