অনলাইন ডেস্ক।।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কাশ্মির ও নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বিস্তৃত সংলাপে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজনীতি ও কূটনীতিকে পেছনে রেখে যুদ্ধ উসকে দেওয়া দুই দেশের জন্য সীমাহীন যন্ত্রণা ছাড়া কিছুই বয়ে আনবে না।
শেহবাজ বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে বিস্তৃত সংলাপে বসতে চাই। কাশ্মির এবং অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে, এবং পরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় যৌথ কার্যক্রম নিয়ে কথা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের কারণে পাকিস্তান গত কয়েক দশকে প্রায় ৯০ হাজার প্রাণ হারিয়েছে এবং ১৫ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই শান্তি জরুরি।”
গত ৭ মে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ পরিচালনা করেছে। এর সফলতা উদযাপনে ইসলামাবাদে আয়োজন করা হয় ইয়োম-ই-তাশাকুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেহবাজ শরিফ।
শেহবাজ জানান, ভারতের জম্মু-কাশ্মির পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর শুরু হওয়া সংঘাতে পাকিস্তান জয়ী হয়েছে, তবে শান্তি চায়। তিনি বলেছিলেন, “যুদ্ধ হলেও আমরা শান্তি চাই। কারণ পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের যুদ্ধে উপমহাদেশের ১৬০ কোটি মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।”
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন, যার দায় স্বীকার করে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এর ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং দুই দেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপ ও সামরিক পাল্টা অভিযানের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়।
বাহ্যিক চাপের ফলে ১০ মে থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
সূত্র: ডন