অনলাইন ডেস্ক।।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)-এ বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে তারা এখন পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (বাপসু) ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত নিয়োগ,
২. ক্লিনিকাল পোস্টে শূন্যপদ পূরণ,
৩. মাস্টার্স ইন ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু,
৪. ইন্টার্নদের জন্য ভাতা নিশ্চিতকরণ,
৫. পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব ও কমনরুমের ব্যবস্থা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কমিটি দাবিগুলো যৌক্তিক বলে মত দিলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বাপসু আহ্বায়ক আশিকুর রহমান বলেন, “বিশেষ করে ইন্টার্ন ভাতা পাওয়ার অধিকার থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের বছরের পর বছর এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে পাঠিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নিটোর প্রশাসনের দায়িত্ব, শিক্ষার্থীদের নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফিজিওথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলেও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এ পেশাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চিকিৎসা সেবার মান ও সাধারণ জনগণ।”
১৯ মে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন না।