অনলাইন ডেস্ক।।
আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের ইনসেপশন মিটিং-এর মাধ্যমে জাতীয় যুব অ্যাডভোকেসি উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)-এর যুব ক্যাটালিস্ট প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, যার অর্থায়নে রয়েছে সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (Sida), এবং বাস্তবায়নে রয়েছে এসইআরএসি-বাংলাদেশ (SERAC-Bangladesh)।
উদ্যোগটির মূল লক্ষ্য হলো যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার (SRHR) এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে তরুণদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। এর মাধ্যমে তরুণরা জাতীয় উন্নয়ন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিক মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরতে পারবে একটি আসন্ন ‘কালার পেপার’-এর মাধ্যমে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মেডিকেল শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ড. মো. সরোয়ার বারী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞগণ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আশরাফি আহমেদ, বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ফেলিক্স হেলগেসন, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ ড. বিববেন্দ্র সিং রঘুবংশী, নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. হালিদা হানুম আখতার, ইউএনএফপিএ'র এসআরএইচআর বিশেষজ্ঞ ড. আবু সাঈদ মোহাম্মদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাইনুল ইসলাম, সিসিএইচপিইউ-এর অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির এবং এসইআরএসি-বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক এস এম শাইখাত।
সারাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন শ্রেণির তরুণ প্রতিনিধি—সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকরা—এ অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং নীতিনির্ধারণমূলক আলোচনায় তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা তুলে ধরেন।
বক্তারা একমত পোষণ করেন যে, একটি সুস্থ, জলবায়ু সহনশীল এবং ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশের জন্য তরুণদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।