|
ad728
ad728

‘তিন দিনেই হাল ছাড়ল ভারত, পাকিস্তানের সামরিক দাপটে শান্তির খোঁজে দিল্লি’

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 11-05-2025 ইং
  • 7429 বার পঠিত
‘তিন দিনেই হাল ছাড়ল ভারত, পাকিস্তানের সামরিক দাপটে শান্তির খোঁজে দিল্লি’
ছবির ক্যাপশন: অনলাইন সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের ভয়াবহ সামরিক সংঘাত শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি মধ্যস্থতায়। এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে ৭ মে, যখন ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে একটি ‘অপ্ররোচিত’ হামলা চালায় বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এতে নিহত হন অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল। (সূত্র: যুগান্তর)

পাল্টা আঘাতে পাকিস্তানের জবাব
ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান গুঁড়িয়ে দেয় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ডজনখানেক ড্রোন। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী প্রায় ৮০টি ড্রোন পাঠায়, যেগুলোর মধ্যে ইসরায়েলি-নির্মিত হেরন ইউএভিও ছিল। এসব ড্রোনকে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। (সূত্র: আইএসপিআর বিবৃতি, যুগান্তর)

বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় হামলা
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে শুক্রবার রাতে, যখন ভারত একযোগে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি — নূর খান, মুরিদ ও শরকোটে মিসাইল হামলা চালায়। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এই হামলা সরাসরি বিমান থেকে ছোড়া মিসাইল দিয়ে করা হয়। (সূত্র: আইএসপিআর, যুগান্তর)

পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনয়া নুম মারসূস’
এরপর শনিবার সকালেই পাকিস্তান চালায় পাল্টা অভিযান — ‘অপারেশন বুনয়া নুম মারসূস’। এ অভিযানে ভারতের একাধিক সামরিক ঘাঁটি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল সংরক্ষণ কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। (সূত্র: সিএনএন, নিক রবার্টসন)

সিএনএনের সাংবাদিক নিক রবার্টসনের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে, ভারত কূটনৈতিক সহায়তার জন্য দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং তুরস্কের দ্বারস্থ হয়।

মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র, ‘এখন না হলে কখনো নয়’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার গভীর রাতে তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লেখেন —

> “দীর্ঘ রাতব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা শেষে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। সাধারণ বোধ ও বুদ্ধির সুন্দর ব্যবহারের জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন জানাই।” (সূত্র: ট্রুথ সোশ্যাল)

নিক রবার্টসন সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান,
> “পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে সামরিক বিরতি দিয়ে কূটনৈতিক পথ খোলা রাখে, কিন্তু ভারত যখন তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন পাকিস্তান পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগে বাধ্য হয়। এরপরই ভারত মধ্যস্থতার জন্য মার্কো রুবিও ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাহায্য চায়।”

ভবিষ্যৎ উদ্বেগ: পানির অধিকার
রবার্টসন আরও বলেন,
> “যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি রয়ে গেছে — পানি। কূটনৈতিক পর্যায়ে পানি ইস্যু ভবিষ্যতে বড় উত্তেজনার কারণ হতে পারে।”

সমাপ্তি, তবে শান্তি নয়

চারদিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলেও পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই স্পর্শকাতর। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এই বিরতি হয়তো তাৎক্ষণিক সংঘর্ষ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী শান্তি পেতে হলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সমাধান অপরিহার্য।

সূত্র: সিএনএন, ট্রুথ সোশ্যাল, যুগান্তর

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর