|
ad728
ad728

সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গলাচিপায় মানববন্ধন ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি এলাকাবাসীর

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 18-05-2025 ইং
  • 962 বার পঠিত
সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গলাচিপায় মানববন্ধন ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি এলাকাবাসীর
ছবির ক্যাপশন: মানববন্ধনে এলাকাবাসী

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাংবাদিকসহ পাঁচজন নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির প্রতিবাদে রাস্তায় নামলো এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও গলাচিপা থানার সামনে তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে, যখন মোঃ নাসির মাঝি গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, রাত আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে তার রান্নাঘরে অজ্ঞাতনামা কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি কাউকে দেখেননি, তবে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় থানায় অভিযোগ করেন।

তবে ঘটনার মাত্র সাত দিন পর, ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তার ভাবি কোহিনুর বেগম থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২ এপ্রিল রাত ২টা ৩০ মিনিটে তার রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় পাঁচজন ব্যক্তি, যাদের মধ্যে রয়েছেন—
১. সাংবাদিক রানা,
২. ফারুক প্যাদা (যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দল),
৩. কলেজ শিক্ষক অশোক গাইন,
৪. বাদীর আপন নাতি আসিফ মাঝি এবং
৫. স্থানীয় বাসিন্দা ফজলু মৃধা।

কোহিনুর বেগম দাবি করেন, তার দেবর নাসির মাঝি আগুন লাগানোর সময় আসামিদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনার রাতে কোনো আগুন লাগার সময় চিৎকার বা ডাকশোনা যায়নি এবং কেউ কাউকে ঘটনাস্থলে দেখেননি।

তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার যেসব সাক্ষী হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে—মোঃ নাসিম মাঝি, আশিক মাঝি, মনিরুল ইসলাম ও লাল মিয়া মাঝি—তাদের অনেকেই এলাকায় নিয়মিত থাকেন না এবং তাদের সাথে বাদী কোহিনুর বেগমের দীর্ঘদিনের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোহিনুর বেগম ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় জমি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। তারা প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে এলাকায় ফিরে এসে আশেপাশের জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন। জমি বিক্রি না করতে চাইলে ভয়ভীতি দেখানো হয়, এমনকি হামলা-মারধরের ঘটনাও ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে তারা বিভিন্ন মিথ্যা মামলার মাধ্যমে প্রায় ১০-১২টি মামলা করে একাধিক পরিবারের ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এছাড়া, কোহিনুর বেগমের ভাই বাহাউদ্দিন সোহেল বর্তমানে লন্ডনে থাকেন। তিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ভীতি ছড়ান এবং হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই পরিবার নিজেই নিজের ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে নিরীহদের ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, “এই ধরনের ভিত্তিহীন মামলার মাধ্যমে আমাদের প্রভাবশালী ও নির্ভীক মানুষদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে চায় কিছু দখলবাজ চক্র। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই—ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

এলাকাবাসীর মতে, এ ধরনের ঘটনা শুধু নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সাংবাদিকতা ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপরও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর