|
ad728
ad728

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 29-05-2025 ইং
  • 3030 বার পঠিত
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ
ছবির ক্যাপশন: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

কালের কন্ঠস্বর ডেস্ক
ঢাকা, ৩০ মে ২০২৫

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।

জিয়াউর রহমান ছিলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং পরবর্তীতে গঠিত জেড ফোর্সের অধিনায়ক। যুদ্ধকালীন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। দেশ স্বাধীনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় হয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীকালে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে রূপ নেয়।

শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি
বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিবছর এই দিনটি গভীর শ্রদ্ধায় পালন করে থাকে। এ বছরও ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করা হয়। দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়, যেখানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রনায়কত্ব
রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে নতুন গতিপথে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়াস নেন। তার খাল খনন কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো এখনো স্মরণীয়। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু উন্নয়নেও তিনি বিশেষ নজর দেন।

হত্যাকাণ্ড ও শোকাবহ বিদায়
১৯৮১ সালের ২৯ মে সরকারি সফরে চট্টগ্রাম যান প্রেসিডেন্ট জিয়া। পরদিন গভীর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একটি গ্রুপ তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার মৃতদেহ চট্টগ্রামের রাউজানের এক গভীর জঙ্গলে গোপনে কবর দেওয়া হয়। পরে তিন দিন পর তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় আনা হয়। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় তার জানাজা, পরে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে তার সমাধিস্থল গড়ে তোলা হয়।

শহীদ জিয়ার জীবন ও আদর্শ আজও দেশের রাজনৈতিক ও জাতীয় ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে রয়েছে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর