ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানাধীন শম্ভুগঞ্জ এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রায়হান ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মোছা. সুমা আক্তার গতকাল (১১ জুন) রাতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রী শহিদ জিয়া হাই স্কুল থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পাশাপাশি সে অভিযুক্ত ডিসিপ্লেইন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপ্রাল রায়হান ইসলামের ছেলেকে প্রাইভেট পড়াত। অভিযোগে বলা হয়, রায়হান ইসলাম পূর্বে থেকেই ছাত্রীটিকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, কিন্তু ছাত্রীটি সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করতেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ১০ জুন দুপুরে রায়হান ইসলামের ফোন পেয়ে ছাত্রীটি তার ছেলেকে পড়াতে শম্ভুগঞ্জ এলাকার ডিসিপ্লেইন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রিন্সিপাল রায়হানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং পরে পুলিশে খবর দিলে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হেলেন বলেন, “এজাহারের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
জনমনে ক্ষোভ ও প্রশ্নবোধকতা
ঘটনার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ও নজরদারির ঘাটতির বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয়ের দায়ভার কি শুধুই ব্যক্তির উপর বর্তাবে, নাকি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাও এর জন্য সমভাবে দায়ী?
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“যাদের হাতে সন্তানদের ভবিষ্যৎ, তাদের হাতেই যদি সন্তান অরক্ষিত থাকে, তবে অভিভাবকরা কোথায় যাবেন?”
ফজর | ০৩:৪৪ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১২:০০ দুপুর | |
আছর | ০৩:১৯ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৪৮ সন্ধ্যা |
এশা | ০৮:১৬ রাত | |
জুম্মা | ১২:০০ দুপুর |