ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বানিয়াকাজী গ্রামে ঘটেছে এক বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক ঘটনা। পরিবারের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান যে কারো জন্য, সেখানে একজন শিশু তারই দাদার হাতে ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে।
অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫), মৃত এছাহাক আলীর পুত্র এবং সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবার চাচা। শিশুটির বয়স মাত্র ৮ বছর, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে একা ঘরে পড়ছিল মেয়েটি। ঠিক তখনই অভিযুক্ত আনোয়ার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিদ্যুৎ ফিরে এলে এবং দাদী ঘরে প্রবেশ করলে সে পালিয়ে যায়।
শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে দাদীকে সব জানালে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। এরপরই শুরু হয় অন্য চিত্র—বিচারের বদলে শুরু হয় ধামাচাপার চেষ্টা।
পরদিন বুধবার (২৩ এপ্রিল) গ্রামে শালিস বসে। সেখানে অভিযুক্ত পক্ষ ‘ইজ্জতের ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শিশুটির চাচার তীব্র প্রতিবাদে সেই শালিস ভেস্তে যায়।
ভুক্তভোগীর বাবা সবুজ মিয়া বলেন,
“আমার মেয়ে আমার চোখের সামনে বড় হচ্ছে। মা নেই, আমি-ই ওর সবকিছু। আর সেই মেয়েটার সঙ্গে এমনটা করবে নিজের দাদা? এরপর আবার হুমকি দিয়ে গেলো তারা! বিচার না পেলে বাঁচবো কীভাবে?”
এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,
“আমরা খবর পাওয়ার পরই পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিম পরিবারকে থানায় নিয়ে আসি। মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শিশুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
এই ঘটনায় শুধু একটি শিশুই নয়, একসাথে আহত হয়েছে সমাজের বিবেক। পারিবারিক নিরাপত্তা আর সামাজিক ন্যায়বিচারের জায়গায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেছে এই নির্মমতা।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি,
“ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় শালিসের কোনো জায়গা নেই। এই ধরনের অপরাধের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। শিশুর প্রতি সহিংসতায় রাষ্ট্রকে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।”
ফজর | ০৪:০৭ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৭ দুপুর | |
আছর | ০৩:২৩ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:২৭ সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:৪৮ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৭ দুপুর |