কালের কন্ঠস্বর || আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা, ৫ মে: গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯০৮ জন শিশু এবং ৩১১ জন নবজাতক। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ইসরাইল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার শিশু ও গর্ভবতী নারী, যা সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলা ও ত্রাণ প্রবেশে বাধার কারণে অনেক শিশু দিনে মাত্র একবার, তাও অসম্পূর্ণ খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। বিশুদ্ধ পানি ও পুষ্টির অভাবও প্রকট। বাস্তুচ্যুত কেন্দ্রগুলোতে মৌলিক চাহিদা ছাড়াই জীবন কাটাচ্ছে হাজার হাজার শিশু।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এর ফলে স্বাস্থ্য ও খাদ্যসেবা ভেঙে পড়ে।
একই দিনে গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, সোমবারের ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলা ঘরবাড়ি, যানবাহন এবং জনসমাগম স্থল লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এরপর থেকেই গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযান শুরু হয়, যাতে এ পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১৮ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
১৫ মাস পর ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও তা স্থায়ী হয়নি। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে আরও ২,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫,০০০-এর বেশি আহত হন।
ফজর | ০৩:৫৪ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৬ দুপুর | |
আছর | ০৩:২০ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৩৫ সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:৫৯ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৬ দুপুর |