দেশব্যাপী রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নেতাদের তালিকা প্রস্তুত করছে। সূত্র জানায়, ওয়ার্ড পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের সুবিধাভোগী নেতাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হচ্ছে।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, তদবির ও পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে যারা অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তথ্য সংগ্রহের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে মামলা, সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে কিছু গ্রেপ্তারও হয়েছে।
এদিকে, নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী সংগঠিত হয়ে মাঝে মধ্যে মিছিল-সমাবেশ করছেন, যেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রভাব ফেলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এর পেছনে বিদেশি অর্থায়নসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি অনলাইন ও অফলাইনে সংগঠিত হয়ে সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত হচ্ছেন। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
সিআইডির প্রধানের দায়িত্ব পালনকারী এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যেই অপরাধ তদন্ত করছি। আইন অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক।”
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মানি লন্ডারিং বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে ২৪ ধরনের অপরাধের তদন্তে সিআইডি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই বিধির আওতায় রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ছাড়াও বেসরকারি যেকোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি তদন্তের আওতায় আসতে পারেন।
তবে বিশাল এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে লোকবল ও অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবুও তারা জানিয়েছেন, সীমিত সম্পদেও সর্বোচ্চ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
ফজর | ০৩:৫০ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৬ দুপুর | |
আছর | ০৩:১৯ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৩৮ সন্ধ্যা |
এশা | ০৮:০৩ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৬ দুপুর |