বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এর মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সম্প্রতি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পুটিমারী বাজারে দলের আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, "সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতিষ্ঠান এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী শক্তি। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে দুর্বল করলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে।" তিনি দাবি করেন যে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রলম্বিত করার জন্য একটি অশুভ প্রচেষ্টা চলছে, যেখানে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার জন্য পরিস্থিতি জটিল করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, "ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রথম বিজয় ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে, তবে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।" এমরান সালেহ প্রিন্স দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, "পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে।"
তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরও বলেন, "জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় হওয়া প্রয়োজন, কিন্তু ক্রমাগতভাবে জাতীয় ঐক্যবিরোধী তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।" এর জন্য তিনি তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, এই ৩১ দফা দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
এমরান সালেহ প্রিন্সের এই বক্তব্যে দলের প্রতি তার কৌশলগত নির্দেশনা এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির কথা উঠে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই বক্তব্যকে নির্বাচনী পরিস্থিতিতে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
এছাড়া, এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিভিন্ন স্থানীয় নেতা, যারা পরবর্তীতে দলের উন্নতি ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
নির্বাচনী পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা:
এমরান সালেহ প্রিন্সের বক্তব্য অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে থাকতে হবে, তবে কিছু রাজনৈতিক শক্তি বাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এটি দেশের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন তিনি।
ফজর | ০৪:০৭ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৭ দুপুর | |
আছর | ০৩:২৩ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:২৭ সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:৪৮ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৭ দুপুর |