|
ad728
ad728

সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় যুবককে হত্যা: দেড় বছর পর নোয়াখালীতে রহস্য উদঘাটন

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 14-06-2025 ইং
  • 1384 বার পঠিত
সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় যুবককে হত্যা: দেড় বছর পর নোয়াখালীতে রহস্য উদঘাটন
ছবির ক্যাপশন: আসামি নুরুল আলম রনিকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া এক ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় আদালতে স্বেচ্ছায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যার মূল আসামি নুরুল আলম রনিকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার।

গ্রেপ্তারকৃত রনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রংমালা বাজার এলাকার বাসিন্দা সফিকুল আলম বাহারের ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনা
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. শরীফ (২৫) এর সঙ্গে একটি সিগারেট চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয় রনির। সিগারেট না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে রনি। টাকা না থাকায় রনি প্রথমে বাড়ি গিয়ে টাকা এনে সিগারেট কিনে রংমালা বাজারের হিন্দু পাড়ার হরি দোকান থেকে। এরপর বাজারের পুকুরঘাটে গিয়ে সিগারেট টানতে থাকে।

এ সময় শরীফ সেখানে গেলে পুনরায় বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনি তাকে রংমালা দারুল উলুম মাদ্রাসার পেছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। অচেতন হয়ে পড়লে শরীফকে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে রনি।

৭ দিন পর লাশ উদ্ধার
একটানা সাত দিন মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পচাগলা অবস্থায় শরীফের মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রথমে এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হলে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।

মোবাইল ফোনই কাল হলো
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর রনি চট্টগ্রামে পালিয়ে যায় এবং সেখানে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ৩ হাজার ৫০০ টাকায় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তদন্ত কর্মকর্তা বিমল কর্মকার ও এসআই মো. মহসিন দীর্ঘ অনুসন্ধানে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেন।

পরিদর্শক বিমল কর্মকার বলেন, “মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আমরা হত্যার মূল রহস্য বের করতে সক্ষম হই। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশের ধৈর্য ও পেশাদারিত্বপূর্ণ তদন্তের প্রশংসা করেছেন।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর