সম্প্রতি বাংলাদেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এসব হামলা অবিলম্বে বন্ধ করা ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণে বহু নাগরিক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিককে হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে। সংগঠনগুলো মনে করে, জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্রবহির্ভূত কোনো পক্ষের হামলা থেকেও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্ক
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করে, সরকার বহুবার এই বিতর্কিত আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিলেও, বাস্তবে এর পরিবর্তে যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ফৌজদারি মামলার চর্চা বন্ধের দাবি
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মতপ্রকাশের কারণে ব্যক্তি ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। মতপ্রকাশের অধিকার সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত হলেও, বাস্তবে তা অব্যাহতভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সরকারের করণীয় কী?
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, সরকারকে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা নিরাপদে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। পাশাপাশি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনি কাঠামো আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সংস্কার করা জরুরি।
বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজরে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
-কালের কন্ঠস্বর
ফজর | ০৪:০৭ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৭ দুপুর | |
আছর | ০৩:২৩ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:২৭ সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:৪৮ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৭ দুপুর |