কালের কন্ঠস্বর:
ইসরাইলে তিনটি স্বল্প-পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরাইলের নির ইৎজাক এলাকায় এসব রকেট নিক্ষেপ করে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড। শনিবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। খবর আল-জাজিরার।
তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে ইসরাইল। এর আগে তারা দাবি করেছিল, গাজা থেকে ছোড়া তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এ ঘটনার কয়েকদিন আগেই গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের আশদোদ শহরে ১০টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল হামাস।
বেসামরিক স্থাপনায় হামলা ও নারী-শিশুর মৃত্যু
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সম্প্রতি ইসরাইলের চালানো ৩৬টি হামলার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী ও শিশুরাই এই হামলার প্রধান ভুক্তভোগী।
জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী গাজার আবাসিক ভবন ও শরণার্থী শিবিরে অন্তত ২২৪ বার হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, “গাজা জুড়ে সামরিক হামলায় কেউ কোথাও নিরাপদ নয়।”
তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণকে বারবার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”
বিশেষ একটি হামলার বর্ণনা তুলে ধরে তিনি জানান, ৬ এপ্রিল দেইর আল বালাহ এলাকার একটি ভবনে এক শিশু, চার নারী ও একটি মেয়েসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ইসরাইলের সামরিক আদেশে খান ইউনিসের আল মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া নাগরিকদের তাঁবুগুলোর উপরও একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে ১৮ মার্চ থেকে অন্তত ২৩টি হামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
৩১ মার্চ গাজার রাফাহ এলাকায় শুরু হওয়া বড় আকারের স্থল অভিযানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “অধিকৃত অঞ্চলের বেসামরিক জনগণকে স্থায়ীভাবে স্থানচ্যুত করা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শামিল, যা চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন।”
ফজর | ০৩:৫২ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৬ দুপুর | |
আছর | ০৩:১৯ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৩৭ সন্ধ্যা |
এশা | ০৮:০১ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৬ দুপুর |