পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে ভয়াবহ ঝড় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অন্তত ৮ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ মে) প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পিডিএমএ জানিয়েছে, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ ছিল পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধসে পড়া। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঝেলম জেলায় এবং বাকি নিহতরা রাওয়ালপিণ্ডি, শেখুপুড়া, ননকানা সাহিব, সিয়ালকোট ও মিয়ানওয়ালিতে প্রাণ হারান।
লাহোরে প্রবল ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়া, সৌর প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ৫১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও উদ্ধার সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিম্নাঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে জরুরি ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
এর আগে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) সম্ভাব্য ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল। এতে জানানো হয়, পরবর্তী ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাঞ্জাব, ইসলামাবাদ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি, বজ্রঝড়, ধুলিঝড় ও প্রবল দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বাতাসের গতিবেগে দুর্বল গাছ উপড়ে পড়া, বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং যানবাহন ও ভঙ্গুর স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে এনডিএমএ’র ন্যাশনাল ইমার্জেন্সিজ অপারেশন সেন্টার (এনইওসি)।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে: ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, লাহোর, গুজরানওয়ালা, ঝেলম, অ্যাটক, ফয়সালাবাদসহ পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার বহু জেলা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং ঝড়ের সময় ঘরের বাইরে যাওয়া ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফজর | ০৩:৪৮ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৭ দুপুর | |
আছর | ০৩:১৮ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৪০ সন্ধ্যা |
এশা | ০৮:০৬ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৭ দুপুর |