|
ad728
ad728

ডিপফেক বিতর্কে জেনা ওর্তেগা: “আমি এআই ঘৃণা করি”

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 26-05-2025 ইং
  • 2208 বার পঠিত
ডিপফেক বিতর্কে জেনা ওর্তেগা: “আমি এআই ঘৃণা করি”
ছবির ক্যাপশন: অনলাইন সংগৃহীত

নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘Wednesday’-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া মার্কিন অভিনেত্রী জেনা ওর্তেগা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের শিকার হয়ে গভীর আতঙ্ক ও হতাশার মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কীভাবে তার নাবালক বয়সের ছবি ব্যবহার করে এআই-এর মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ছবি তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে ওর্তেগার ছবি ব্যবহার করে একটি অ্যাপের মাধ্যমে ডিপফেক ছবি তৈরি করা হয়। সেই অ্যাপটি—‘পার্কি এআই’—বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করেছিল, তাদের প্রযুক্তি নারীদের পোশাক সরাতে সক্ষম। এসব ছবি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন আকারেও ছড়িয়ে পড়ে। পরে এনবিসি নিউজ বিষয়টি মেটাকে (ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান) জানালে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

জেনা বলেন, “আমি এআই ঘৃণা করি। এটা অবিশ্বাস্য জিনিসের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু যখন এটা অপব্যবহৃত হয়, তখন তা ভয়ংকর।” তিনি আরও বলেন, “আমি কি ১৪ বছর বয়সে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে আমার এমন ছবি দেখতে চেয়েছিলাম? মোটেও না। এটা ভয়ংকর। এটা ভুল।”

অভিনেত্রী জানান, ২০২২ সালের ‘Wednesday’ সিরিজ মুক্তির পর তার জনপ্রিয়তা বাড়ে, আর সেই সময়ই তার বিরুদ্ধে এই অনলাইন নির্যাতনের মাত্রাও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, তিনি নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন।

তিনি বলেন, “সেই সময়টা খুবই বিরক্তিকর ছিল। আমি অস্বস্তিতে ভুগছিলাম। একদিন ঘুম থেকে উঠে বুঝলাম, এসব আর দরকার নেই। তাই অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলি।”

এই ঘটনার মাধ্যমে কেবল জেনা ওর্তেগাই নয়, আরও অনেক তারকাও ডিপফেকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। টেলর সুইফট, জোচিটল গোমেজসহ একাধিক নারী সেলেব্রিটির ক্ষেত্রেও একই ধরনের ছবি তৈরি ও ছড়ানো হয়েছে।

সিসিএন নামের একটি সংস্থার গবেষণা বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ডিপফেক ভিডিওর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫৫০ শতাংশ। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই যৌন উদ্দীপক এবং ৯৪ শতাংশ ভিডিও নারীদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে, বিশেষত বিনোদন জগতের তারকাদের নিয়ে।

তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, এসব ছবি বা ভিডিও নির্মাণ ও ছড়িয়ে পড়া রোধে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর নীতিমালা নেই। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ডিপফেকের অপব্যবহারও যেভাবে বাড়ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের সামাজিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর