বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১.৬০ টাকা ধরে) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থ ব্যয় হবে ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্প’ বা ‘বি-স্ট্রং’ বাস্তবায়নে, যার মূল লক্ষ্য হলো ২০২৩ সালের আগস্টে সংঘটিত ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কার্যক্রম।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন।

প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে—বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)।

ঋণটি বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে, যা ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এর ওপর বাৎসরিক ০.৭৫% সার্ভিস চার্জ ও ১.২৫% সুদ প্রযোজ্য। অনুত্তোলিত অর্থের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ০.৫০% হারে কমিটমেন্ট ফি থাকলেও, বর্তমানে এ ফি মওকুফ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে ৪৭টি চলমান প্রকল্পে ১৩.১ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন করছে সংস্থাটি।