সিলেটে বিএনপির একটি আলোচনা সভায় প্রকাশ্য বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ মিলনায়তনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্র জানায়, সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাতবার্ষিকীর মত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের উপস্থিত না থাকা দুঃখজনক।”

এরপর সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আরিফুল হকের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “এখানে হলভর্তি নেতা-কর্মী উপস্থিত, উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন বলা হচ্ছে সিনিয়ররা আসেননি?” তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পূর্বে আন্দোলন-সংগ্রামে অনেকে ভূমিকা রেখেছেন—তা অস্বীকার করা ঠিক নয়।”

এই মন্তব্যের সময় আরিফুল হক চৌধুরী আসন থেকে উঠে লোদীর কাছে গিয়ে বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান এবং তাকে আরও সংযত ভাষা ব্যবহারের অনুরোধ করেন। দু’জনের মধ্যে কয়েক মিনিটের প্রকাশ্য বাগবিতণ্ডা হয়, যা মিলনায়তনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যেও দলে বিভক্তির ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এ ঘটনার পর সিলেট বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আবারও সামনে চলে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।