ঢাকা, ৩ জুন ২০২৫:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজের গুমের অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করেছেন। এর আগে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তিনি একই অভিযোগ গুমসংক্রান্ত জাতীয় কমিশনেও জমা দিয়েছিলেন।

অভিযোগ দাখিলের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, “গুম ও খুনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলতে হবে। কিন্তু এতদিনেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় আমরা হতাশ।” এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব ‘গুম-খুনে’ জড়িত ব্যক্তির বিচারের দাবি জানান।

তিনি বলেন, “এই সরকারের দায়িত্ব গুম ও খুনে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা। সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসানসহ গুমে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

নিজের গুমের বর্ণনা দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন,
“২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ৬১ দিন আমি নিখোঁজ ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে একটি অজ্ঞাত রুমে আমাকে আটকে রাখা হয়। পরে ১১ মে ভারতের শিলং শহরে আমাকে পাওয়া যায়।”

ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা হয়। ২০১৮ সালে নিম্ন আদালতে তিনি খালাস পেলেও ভারতের সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে, যার ফলে তিনি দীর্ঘ সময় সেখানেই আটকে থাকেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করতে হলে বিচার নিশ্চিত করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।”