|
ad728
ad728

শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারির প্রতিবাদী পোস্ট: ‘গাজায় মুসলিম রক্ত ঝরছে, বিশ্ব নীরব কেন?’

রিপোর্টারের নামঃ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 19-03-2025 ইং
শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারির প্রতিবাদী পোস্ট: ‘গাজায় মুসলিম রক্ত ঝরছে, বিশ্ব নীরব কেন?’
ছবির ক্যাপশন: অনলাইন সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর জন্য তড়পাচ্ছে আরও অসংখ্য মানুষ। এই হামলা গাজার পরিস্থিতি আরো বিপর্যস্ত করে তুলেছে, এবং সেখানে মানবিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে’ আক্রমণ চালাচ্ছে। হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং আইডিএফ নতুন করে আরও অনেক এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ এবং সমালোচনা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে রমাদান মাসে মুসলিমদের ওপর এই নৃশংস হামলার ঘটনায়।

মুসলিম নেতাদের নির্লজ্জ নীরবতা

গাজা ইস্যু নিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মিজানুর রহমান আজহারি। শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে বলেন, "গাজা ইস্যুতে মুসলিম নেতাদের নির্লজ্জ নীরবতা তাদের মুনাফেকিকেই প্রকট করে তোলে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা যখন রসনাবিলাসী ইফতার-সাহরি আর ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত, তখন আরেক প্রান্তের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর সাহরির ওয়াক্তে বর্বোরচিত বোমা হামলা করল মানুষ নামের পশুগুলো।"

এদিকে, মিজানুর রহমান আজহারি তার পোস্টে লিখেছেন, "আরশের মালিক! তুমি আমাদের মাজলুম ভাই-বোনদের সহায় হও। তাদের ওপর রহম করো।"

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান

গাজায় নিহতদের সংখ্যা ৪০৪ জন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া অসংখ্য মানুষকে উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রয়োজন। শায়খ আহমাদুল্লাহ তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, "সারি সারি পড়ে থাকা ক্ষত-বিক্ষত শিশুদের লাশে ভোরের বাতাস ভারি। তা দেখে পাষাণ হৃদয়ও কেঁপে কেঁপে উঠছে।"

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে, যারা এই নৃশংসতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর লানত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া

এই হামলার পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং রাজনৈতিক নেতারা গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিকে, মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

গাজার পরিস্থিতি মানবিক সংকটের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Grantsburg)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর