বিসিবির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি
সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে না থাকার পেছনে নানা কারণ উঠে এসেছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল— তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিসিবি কি তার সঙ্গে আলোচনা করেছিল? সম্প্রতি ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, বিসিবি তার সঙ্গে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করেনি।
সাকিব বলেন, ‘দেখুন, কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে যদি এই বিষয়ে (বিসিবি ও সাকিবের মাঝে) যোগাযোগটা ভালোভাবে করা হতো, তাহলে আমি খুশি হতাম।’
নির্বাচকদের যুক্তি ও বাস্তবতা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এর আগে জানিয়েছিলেন, সাকিবের দলে না থাকার অন্যতম কারণ তার বোলিং নিষেধাজ্ঞা।
তিনি বলেন, ‘বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় নেগেটিভ, তাই তিনি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি।’
তবে টুর্নামেন্ট শেষে দেখা গেছে, সিনিয়র ব্যাটাররা খুব একটা ভালো করতে পারেননি। পুরো আসরে কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা ভালো করেছেন, তবে বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। তরুণ ব্যাটাররাই তুলনামূলকভাবে ভালো করেছেন।
বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা ও ভবিষ্যতের ভাবনা
সিনিয়র ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণেই বাংলাদেশ দল গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে যায়। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার সময় সাকিব নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি তিনি ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে বোলিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্থাৎ, এখন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও বল হাতে নিতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, বিসিবি কি তাকে আবার দলে ফিরিয়ে আনবে? নাকি এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে ছিল? সাকিবের অনুপস্থিতি কি শুধুই বোলিং নিষেধাজ্ঞার কারণে, নাকি এর পেছনে ভিন্ন কোনো কৌশল কাজ করেছে?
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সাকিবকে কীভাবে ব্যবহৃত হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
কালের কন্ঠস্বর
ফজর | ০৪:০৭ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৭ দুপুর | |
আছর | ০৩:২৩ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:২৭ সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:৪৮ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৭ দুপুর |