কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট এক চাকা খুলে পড়ার পরও পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর দক্ষতায় প্রথম চেষ্টায়ই নিরাপদে অবতরণ করেছে। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ২টা ২২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফল এই অবতরণের পর দেশজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন ক্যাপ্টেন জামিল।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই কক্সবাজার বিমানবন্দরের বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা খুলে পড়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে পাইলট ঢাকা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের (ATC) সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
দুপুর ২টা ১৯ মিনিটে ঢাকার আকাশে ফ্লাইটটি দেখা গেলে এটিসি থেকে পাইলটকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনি কি রানওয়ে ১৪-এ অবতরণ নিশ্চিত করছেন?” ক্যাপ্টেন জামিল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দেন, “অ্যাফার্ম।”
এর ৯০ সেকেন্ড পরই ফ্লাইটটি সফলভাবে অবতরণ করে। রানওয়ের চারপাশে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত ছিলেন। অবতরণ নিশ্চিত হওয়ার পর অনেকেই "আলহামদুলিল্লাহ" বলে তালি দেন।
এটিসির পক্ষ থেকে পাইলটকে ধন্যবাদ জানানো হলে ক্যাপ্টেন জামিল বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমরা নিরাপদে অবতরণ করেছি। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের এটিসিকেও আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাবেন।”
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে পাইলট কিছু সময় চক্কর দিয়ে জ্বালানি পোড়ায়। কিন্তু ক্যাপ্টেন জামিল ঝুঁকি নিয়েই সরাসরি অবতরণে যান। ফলে প্রস্তুতি ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানায়, ক্যাপ্টেন জামিলের রয়েছে ৮ হাজার ঘণ্টার ফ্লাইং অভিজ্ঞতা। তার এবং ক্রুদের দক্ষতা ও বিচক্ষণতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার পর যাত্রীরা পাইলট ও বিমান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে, বিমানের চিফ অব সেইফটি ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফজর | ০৩:৫২ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৬ দুপুর | |
আছর | ০৩:১৯ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৩৬ সন্ধ্যা |
এশা | ০৮:০১ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৬ দুপুর |