ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, কালের কন্ঠস্বর
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা ভিটিবাড়ী গ্রামে আয়মন নদীর ওপর অবস্থিত ‘গহুর মোল্লার ব্রিজ’ ধসে পড়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দীর্ঘ বৃষ্টির ফলে নদীর পানির চাপ বেড়ে দুই পাশের মাটি সরে গেলে সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়ে। এতে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে স্থানীয়দের চলাচল ও পণ্য পরিবহন।
প্রায় আড়াই দশক আগে, ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু সম্প্রতি সেতুটি সংরক্ষণ ছাড়াই পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আয়মন নদীতে খনন কার্যক্রম শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, এ খননকাজের ফলে সেতুর গোড়ার মাটি সরে গিয়ে এটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে এবং স্রোতের চাপে ধসে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, “এই ব্রিজটি দিয়ে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করত। এখন কয়েকটি গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।”
একই অভিযোগ করেন তোতা মিয়া নামের অপর এক বাসিন্দা, “চোখের সামনে ব্রিজটি ভেঙে পড়তে দেখেছি। পাউবো অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করেছে। দ্রুত নতুন ব্রিজ চাই।”
সেতু ভেঙে পড়ায় পণ্য পরিবহনেও সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এই ব্রিজটির কারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছিলাম। এখন যেন মাথায় হাত পড়ে গেছে।”
এ বিষয়ে এলজিইডি মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “পাউবো অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করেছে বলেই সেতুটি ভেঙে গেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করব এবং পরবর্তী ধাপে নতুন সেতুর জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করব।”
তবে দায় অস্বীকার করেছে পাউবো। সংস্থাটির ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখলাক উল জামিল বলেন, “আমরা সেতুর সংরক্ষণের জন্য আগেই উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। সেতুর ৩০ মিটারের মধ্যে কোনো খনন কাজ করিনি। সেতু ধসে পড়ার দায় আমাদের নয়।”
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, “সেতু ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। আবহাওয়ার কারণে এখনও যাওয়া হয়নি, তবে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ফজর | ০৩:৪৫ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৮ দুপুর | |
আছর | ০৩:১৮ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:৪৪ সন্ধ্যা |
এশা | ০৮:১০ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৮ দুপুর |