যশোর শহরতলীর বিরামপুর গাবতলায় মা ও তার চার বছরের শিশুর ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি মোবাইল চার্জ দেওয়ার কথা বলে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এরপর শিশুটির গলায় ছুরি ধরে তার মাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। চিৎকার করলে হামলাকারী ও তার সহযোগীরা মা ও শিশুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঘটনার সময় বাসায় অন্য কেউ ছিল না। এই সুযোগে স্থানীয় এক ব্যক্তি ও তার কয়েকজন সহযোগী নারকীয় তাণ্ডব চালায়। আহত মা ও শিশুকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পরিবার ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ
এই ভয়াবহ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এক প্রতিবেশী বলেন, "এখানে নারীরা নিরাপদ নয়। রাতে তো দূরের কথা, দিনে-দুপুরেও আতঙ্কে থাকতে হয়। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হবো।"
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, "অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তবে স্থানীয়রা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে মনে করছেন, দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
সমাজের জন্য শিক্ষা ও প্রশাসনের করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অপরাধ রোধে কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো – সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নিয়মিত টহল এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি – নির্যাতিত পরিবার মামলা করতে ভয় পায়। প্রশাসনের উচিত তাদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা।
নারীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা – আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা কেন্দ্র চালু করা যেতে পারে।
ফজর | ০৪:০৭ ভোর | |
---|---|---|
যোহর | ১১:৫৭ দুপুর | |
আছর | ০৩:২৩ বিকাল | |
🌇 | মাগরিব | ০৬:২৭ সন্ধ্যা |
এশা | ০৭:৪৮ রাত | |
জুম্মা | ১১:৫৭ দুপুর |