ঢাকা || ২৮ মে ২০২৫ || কালের কন্ঠস্বর ডেস্ক
আজ ২৮ মে, সারা দেশে পালিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— “মাতৃস্বাস্থ্যে সমতা; বাদ যাবেনা কোনো মা”। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি।

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস করা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গর্ভধারণের শুরু থেকে সন্তান জন্ম পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মা ও শিশুর জন্য গর্ভকালীন যত্ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভজনিত জটিলতার কারণে মারা যান। বর্তমানে দেশে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হিসাবে, বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রাণ হারান, এবং আরও প্রায় ৭০ লক্ষ নারী প্রসব-পরবর্তী গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া প্রায় ৫ কোটির বেশি নারী প্রসব-পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হন।

১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিবসটির উদ্দেশ্যকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-র অন্তর্ভুক্ত করে।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ র‍্যালি, আলোচনা সভা, স্বাস্থ্য শিবির ও গণসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিটি মা এবং নবজাতক নিরাপদ ও সম্মানজনক চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখেন। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়, এটি একটি জাতীয় উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়।